Saturday, August 27, 2011

আল-কোরআনে চন্দ্রালোক ও সূর্যালোক সম্পর্কে কোন মৌলিক তথ্য আছে কি?

Is there any fundamental fact about Moon-light &Sun-light in Al-Quran?
স্রষ্টা মহান আল্লাহতায়ালা দৃশ্যমান ও অদৃশ্যমান সবকিছু সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টি করেছেন আসমানী বস্তু যেমন সূর্য ও চন্দ্র এবং এগুলোর মত কোটি কোটি নক্ষত্র, গ্রহ, উপগ্রহ সহ আরও কতকিছু। দৃষ্টিসীমার মধ্যে অবস্থিত নক্ষত্র এবং গ্রহ, উপগ্রহগুলো উজ্জ্বল আসমানী বস্তু হিসেবে প্রথমত বাহ্যিকভাবে আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়। পরবর্তীতে গবেষণার আলোকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এগুলোর কোনটির আলোর প্রকৃত রূপ কি রকম- তা ধীরে ধীরে আরও স্বচ্ছভাবে আমরা জানতে পারি। নক্ষত্রগুলো তাদের নিজস্ব আলোর কারণে এবং গ্রহ, উপগ্রহগুলো- সূর্য বা অন্য কোন নক্ষত্রের আলোয় আলোকিত হওয়ার কারণে যে উজ্জ্বলতা প্রাপ্ত হয়, তা এখন সবারই জানা। বর্তমানে সূর্য ও চন্দ্রের মত অন্যান্য নক্ষত্র ও গ্রহ, উপগ্রহগুলোর আলোর প্রকৃত রূপ সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক গবেষণার আলোকে বিস্তারিভাবে অনেক কিছু জানা সম্ভব হয়েছে। তবে তা খুব বেশীদিন আগের কথা নয়। যতটুকু জানা যায়- পবিত্র কোরআন নাজিলের পূর্বে সূর্য ও চাঁদের আলোর মধ্যকার মৌলিক তফাৎ সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক জ্ঞান অর্জন করার মত দক্ষতা মানুষ আয়ত্ত করতে সক্ষম হয় নাই। অন্য কোন ঐশী গ্রন্থে সূর্য ও চাঁদের অর্থাৎ নক্ষত্র ও গ্রহ, উপগ্রহের আলোর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে এই ধরনের জ্ঞান দানের ব্যবস্থা মহান স্রষ্টা করেছিলেন কিনা তা আমার জানা নাই। বর্তমানে এই পার্থক্য নিরূপণের বিষয়টি মামলি মনে হলেও দূরবীক্ষণ যন্ত্র আবিষ্কারের আগেই সেই ১৪৫০ বছর পূর্বে কিভাবে আল-কোরআনে এত নিখুঁত তথ্য প্রদান করা সম্ভব হলো- সে সম্পর্কে যে কোন বিবেকবান বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ মাত্রই ভাবতে বাধ্য হয়।

এখন প্রশ্ন হলো- সূর্য ও চাঁদের আলো সম্পর্কে আগেকার সেই জ্ঞান এবং আল-কোরআনে স্রষ্টা প্রদত্ত ঐশী জ্ঞানের মাঝে মৌলিক কোন পার্থক্য আছে কি?

পবিত্র কোরআনে এ বিষয়ে যা বলা হয়েছে তা তুলে ধরার চেষ্টা করছি-
সূরা ইউনুস-আয়াত নং-০৫

هُوَ الَّذِي جَعَلَ الشَّمْسَ ضِيَاء وَالْقَمَرَ نُورًا (১০:০৫)
يُفَصِّلُ الآيَاتِ لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ إِلاَّ وَقَدَّرَهُ مَنَازِلَ لِتَعْلَمُواْ عَدَدَ السِّنِينَ وَالْحِسَابَ مَا خَلَقَ اللّهُ ذَلِكَ بِالْحَقِّ

'যিয়া-উন' (অর্থ) 'আলো'- 'আল-কাওসার'- 'আধুনিক আরবি বাংলা অভিধান'- 'মদীনা পাবলেকেশন্স'।
এছাড়া 'মুনির উদ্দীন আহমদ' এর- 'কোরআনের অভিধানে'- 'দিয়াউন' (অর্থ) 'চমক, ঝলক'- বলা হয়েছে।
'নূরুন' (অর্থ) 'আলো, আলোর কিরণ'- 'আল-কাওসার'- 'আধুনিক আরবি বাংলা অভিধান'- 'মদীনা পাবলেকেশন্স'।

(১০:০৫) অর্থ:- তিনিই তো সূর্যকে 'যিয়া/দিয়া' অর্থাৎ 'আলো/চমক/ঝলক ' এবং চাঁদকে 'নূর' অর্থাৎ 'আলো/আলোর কিরণ' হিসেবে স্থাপন করেছেন বা বানিয়েছেন এবং তার জন্য অবস্থানগুলো নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন যেন তোমরা বছরের গণনা ও সময়ের হিসাব ঠিকমত জানতে পার; আল্লাহ এসব অনর্থক সৃষ্টি করেন নি। যারা জানতে চায় তাদেরকে তিনি এই নিদর্শন বা আয়াতগুলোর বিশদ বিবরণ জানিয়ে দেন।

(১০:০৫) নং আয়াতে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, 'সূর্যের' ক্ষেত্রে 'দিয়া' শব্দটি এবং 'চাঁদের' ক্ষেত্রে 'নূর' শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। এখানে উল্লেখ্য যে, বাহ্যিক দৃষ্টিকোন থেকে সূর্য ও চাঁদ উভকেই তো আলো কিংবা উজ্জ্বল আসমানী বস্তু হিসেবে সহজেই ধরে নেয়া যায়। সুতরাং সূর্য ও চাঁদ- দুটির ক্ষেত্রেই তো 'দিয়া' এবং 'নূর' এই দুটি শব্দের মধ্য থেকে যে কনো একটি শব্দ বেছে নিয়ে তা ব্যবহার করলেই হত। কিন্তু তা না করে স্রষ্টা মহান আল্লাহ দুটির ক্ষেত্রে দু'ধরনের আলো হিসেবে উপস্থাপন করলেন কেন? কারণ এগুলো যিনি সৃষ্টি করেছেন তিনি তো এ দুটো আলোর পার্থক্য ভাল করেই অবগত আছেন। তাই প্রথমত সহজভাবে দুটোকে দুই ধরনের আলো ('দিয়া' ও 'নূর') হিসেবে উপস্থাপনের মাধ্যমে যারা সত্যান্বেষী তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার পাশাপাশি এনিয়ে চিন্তা-গবেষণা করার জন্য উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে।

এবার নিচের বাণীগুলোর দিকে লক্ষ করুন-
সূরা ফুরকান-আয়াত নং-৬১

تَبَارَكَ الَّذِي جَعَلَ فِي السَّمَاء بُرُوجًا وَجَعَلَ فِيهَا سِرَاجًا وَقَمَرًا مُّنِيرًا (২৫ : ৬১)

'সিরা-জুন' (অর্থ) 'বাতি, সূর্য'- 'আল-কাওসার'- 'আধুনিক আরবি বাংলা অভিধান'- 'মদীনা পাবলেকেশন্স'।
এছাড়া 'মুনির উদ্দীন আহমদ' এর- 'কোরআনের অভিধানে'- 'ছিরাজুন' (অর্থ) 'চেরাগ অর্থাৎ প্রদীপ'- হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
'মুনীরুন' (অর্থ) 'আলোকিত, উজ্জ্বল'- 'কোরআনের অভিধান'- 'মুনির উদ্দীন আহমদ'

(২৫ : ৬১) অর্থ:- কত মহান তিনি যিনি আকাশে স্থাপন বা পরিগঠন করেছেন (বুরুজ) তারকার ঘরসমূহ বা গ্যালাক্সিগুচ্ছ এবং তাতে স্থাপন করেছেন প্রদীপ (সূর্য) এবং উজ্জ্বল/আলোকিত চন্দ্র।

সূরা নূহ-আয়াত নং-১৫, ১৬

أَلَمْ تَرَوْا كَيْفَ خَلَقَ اللَّهُ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ طِبَاقًا (৭১:১৫)

(৭১:১৫) অর্থ- তোমরা কি লক্ষ্য কর না যে, আল্লাহ কিভাবে সপ্ত আকাশে স্তরসমূহ সৃষ্টি করেছেন।

وَجَعَلَ الْقَمَرَ فِيهِنَّ نُورًا وَجَعَلَ الشَّمْسَ سِرَاجًا (৭১ : ১৬)

'ক্বামারুন' (অর্থ) 'চাঁদ', 'শামসুন' (অর্থ) 'সূর্য' এবং 'নূরুন' (অর্থ) 'আলো, আলোর কিরণ'- 'আল-কাওসার'- 'আধুনিক আরবি বাংলা অভিধান'- 'মদীনা পাবলেকেশন্স'।
'সিরা-জুন' (অর্থ) 'বাতি, সূর্য'- 'আল-কাওসার'- 'আধুনিক আরবি বাংলা অভিধান'- 'মদীনা পাবলেকেশন্স'।
এছাড়া 'মুনির উদ্দীন আহমদ' এর- 'কোরআনের অভিধানে'- 'ছিরাজুন' (অর্থ) 'চেরাগ অর্থাৎ প্রদীপ'- হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

(৭১ : ১৬) অর্থ:- যেথায় চন্দ্রকে স্থাপন করেছি আলো/আলোর-কিরণরূপে এবং সূর্যকে স্থাপন করেছি প্রদীপরূপে।

'ক্বামারুন' (অর্থ) 'চাঁদ', 'শামসুন' (অর্থ) 'সূর্য' এবং 'নূরুন' (অর্থ) 'আলো, আলোর কিরণ'- 'আল-কাওসার'- 'আধুনিক আরবি বাংলা অভিধান'- 'মদীনা পাবলেকেশন্স'।

সূরা নাবা- আয়াত নং- ১২ ও ১৩

وَبَنَيْنَا فَوْقَكُمْ سَبْعًا شِدَادًا (৭৮:১২)

(৭৮:১২) অর্থ:- এবং আমরা তোমাদের উপরে সাতটি মজবুত (স্তর) বানিয়েছি,

وَجَعَلْنَا سِرَاجًا وَهَّاجًا (৭৮:১৩)
'ওয়াহহা-জুন' (অর্থ) 'উজ্জ্বল' এবং 'ওয়াহজুন, ওয়াহাজা-নুন' (অর্থ) 'আগুন প্রজ্বলিত হওয়া, শিখা বিস্তার করা- 'আল-কাওসার'- 'আধুনিক আরবি বাংলা অভিধান'- 'মদীনা পাবলেকেশন্স'।
'সিরা-জুন' (অর্থ) 'বাতি, সূর্য'- 'আল-কাওসার'- 'আধুনিক আরবি বাংলা অভিধান'- 'মদীনা পাবলেকেশন্স'।
এছাড়া 'মুনির উদ্দীন আহমদ' এর- 'কোরআনের অভিধানে'- 'ছিরাজুন' (অর্থ) 'চেরাগ অর্থাৎ প্রদীপ'- হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

(৭৮:১৩) অর্থ:- এবং তাতে স্থাপন করেছি প্রজ্বলিত উজ্জ্বল প্রদীপ (সূর্য)।

মেঘমুক্ত আকাশে সূর্য

দেখা যাচ্ছে পরবর্তীতে (২৫:৬১), (৭১:১৬) ও (৭৮:১৩) নং আয়াতে বিষয়টিকে আস্তে আস্তে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এক্ষেত্রে (২৫:৬১) ও (৭১:১৬) নং আয়াতে সূর্যের আলোর প্রকৃত রূপকে আরও পরিষ্কার ভাবে বোঝানোর জন্য 'সিরাজ' শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে, যার অর্থ চেরাগ/প্রদীপ/বাতি। আবার (৭৮:১৩) ও (৭৮:১৩) নং আয়াতে এর সাথে 'ওয়াহহাযা' শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে, যার অর্থ 'উজ্জ্বল'। আবার 'ওয়াহজুন' বা 'ওয়াহাজা-নুন' এর অর্থ 'আগুন প্রজ্জ্বলিত হওয়া, শিখা বিস্তার করা'। সুতরাং 'সিরাযাওঁ ওয়াহ্হা-জান' এর মাধ্যমে সূর্যটা যে আসলে আগুন প্রজ্জ্বলিত হওয়া ও শিখা বিস্তার করা আসমানী বস্তু অর্থাৎ প্রজ্বলিত উজ্জ্বল প্রদীপ বা বাতির তুল্য তা পরিষ্কারভাবে ফুটে উঠেছে।

রাতের আকাশে পূর্ণ চাঁদ

আগেই বলেছি, (১০:০৫) নং আয়াতে সূর্য ও চাঁদের আলোকে একই শব্দ দিয়ে না বুঝিয়ে ভিন্ন দুটি শব্দ 'দিয়া' ও 'নূর' হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল। কিন্তু সৃষ্টিকর্তা কেন এমনটি করলেন তা পরবর্তীতে আরও খোলাসা করে দিলেন। যেন ধৈর্যশীল পাঠকরা বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করার সাথে সাথে আরও ভালভাবে বুঝতে পারে। এখন যদি চাঁদের কথা ভাবা যায় তবে দেখা যাবে (১০:০৫) নং আয়াতে চাঁদকে প্রথমত 'নূর' অর্থাৎ আলো বলা হলেও পরবর্তীতে (২৫:৬১) নং আয়াতে 'মুনীর' অর্থাৎ আলোকিত বা উজ্জ্বল বলে উল্লেখ করা হয়েছে। (৭১ : ১৬) ও (৭৮:১৩) নং আয়াতে সূর্যের আলোকে যেমন প্রজ্বলিত প্রদীপের আলোর সাথে তুলনা করে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। চাঁদের ক্ষেত্রে কিন্তু তেমনটি করা হয়নি।

অস্তগামী সূর্যের আলোয় আলোকিত চাঁদ

এখানে এটাই বোঝানো হয়েছে যে, (২৫ : ৬১) চাঁদের আলোর প্রকারটা এমনি যে তা নিজে জ্বলে না, বরং অন্য কারও অর্থাৎ প্রজ্বলিত সূর্যের আলোয় আলোকিত হয়। ফলে (৭১:১৬) উজ্জ্বলতা প্রাপ্ত হওয়ায় দৃষ্টিগোচর হয় এবং আলোর কিরণ ছড়ায়।

জ্ঞানগর্ভ গ্রন্থ আল-কোরআন নিছক কোন বিজ্ঞানের বই নয়, বরং একটি পুর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। তাই এখানে মূলত জীবন পরিচালনার বিধিগুলোকে বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি বিজ্ঞানের মৌলিক তথ্যগুলোকে সংক্ষিপ্তভাবে পেশ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে একদিকে যেমন সাধারণ পাঠকসমাজকে সৃষ্টি-জগৎ সম্পর্কে মৌলিক জ্ঞান দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে, অপরদিকে তেমনি জ্ঞানী ও চিন্তাশীল সম্প্রদায়কে স্রষ্টার সৃষ্টিতত্ত্ব নিয়ে চিন্তা-গবেষণা করার জন্য উদ্ভুদ্ধ করা হয়েছে। পবিত্র কোরআন নাযিলের যুগে যারা এই গ্রন্থটি বুঝে পড়ত তারা নক্ষত্র ও গ্রহ, উপগ্রহের উজ্জ্বলতার কারণ হিসেবে যে মৌলিক জ্ঞান রাখত, এখনও যারা বুঝে পড়ে তারা সেই জ্ঞানই পায়। এরপর কেউ যদি আরও বেশী জানবার জন্য এর সঙ্গে বৈজ্ঞানিক গবেষণালব্ধ তথ্যগুলো অধ্যায়ন করতে চান, তবে তা তিনি করতে পারেন। এতে তার ইমান বাড়বে বৈ কমবে না। মহান স্রষ্টা তাঁর প্রেরিত মহাগ্রন্থে ধীরে সুস্থে জ্ঞানদানের ব্যবস্থা করেছেন। একটি বিষয়কে প্রথমত সবার জন্য সহজভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। তারপর অন্য স্থানে অর্থাৎ অন্য কোন সূরায় সেই বিষয় সম্পর্কে ধীরে ধীরে গভীর তথ্য প্রদান করা হয়েছে। কোন একটি বিষয় সম্পর্কে আগ্রহী হয়ে একজন অনুসন্ধিৎসু পাঠক যখন সেই বিষয়টিকে খোঁজার জন্য এই গ্রন্থখানা পড়তে শুরু করে, তখন আপনা আপনিভাবে অন্য অনেক বিষয় তার চোখে পরে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সে তা পড়তে উদ্দোগী হয়। এভাবে একটি বিষয়ের সাথে সাথে অন্যান্য বিষয় সম্পর্কেও সে জানতে শুরু করে এবং তার জানার আগ্রহ ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলে। মহান আল্লাহ ধৈর্যশীল ও সত্যান্বেষীদেরকে এভাবেই পরীক্ষা করেন ও সরল পথ দেখান। শেষ পর্যন্ত যারা বিশ্বাসে অটল থাকতে পারে, তারা সফলকাম হয়। ইহকাল ও পরকালে শান্তি পায়।

No comments:

Post a Comment

Followers

ছোট্ট একটি আইডিয়া আপনাকে কোটিপতি করে দিতে পারে !!!

এক লোক লেটেস্ট মডেলের একটা গাড়ি চালিয়ে দুর্গম এক এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল। হঠাত তার গাড়ি নষ্ট হয়ে গেল। সে খুব চেষ্টা করল কিন্তু গাড়ি ঠিক করতে পারল না। ঠিক তখন কাছাকাছি একটা গ্যারেজ তার নজরে পড়ল। সেখানে খুব সাদামাটা এক মেকানিক পাওয়া গেল। গাড়িওয়ালা তাকে জিজ্ঞেস করলেন, “তুমি কি আমার গাড়িটা ঠিক করতে পারবে?” মেকানিক গাড়ির ইঞ্জিন কভার তুলে বলল, “পাড়ব।” তারপর মেকানিক তার হাতুড়ি দিয়ে একটা স্ক্রুর উপর গুনে গুনে ৬টা বাড়ি মেরে গাড়িওয়ালাকে বলল, “দেখেন, ঠিক হয়েছে কিনা?” গাড়িওয়ালা অবিশ্বাসের চোখে মেকানিকের দিকে তাকাল। তারপর স্টার্ট দিয়ে দেখল, গাড়ি ঠিক হয়ে গেছে।

গাড়িওয়ালার চোখে – মুখে বিস্ময়! বললেন, “মজুরী কত?”

মেকানিক বলল, “১০০ ডলার।”

“৬টা বাড়ির জন্য ১০০ ডলার! এটা তো ১ ডলারের বেশি হবার কথা না। তোমার মাথা ঠিক আছে?”

“হ্যাঁ স্যার, ৬টা বাড়ির জন্য ১ ডলারের বেশি হবার কথা না। বাকি ৯৯ ডলার হল কোন জায়গাতে বাড়ি মারলে আপনার গাড়ি স্টার্ট নিবে সেটা বুজতে পারার জন্য, জানার জন্য।”

ঠিক উপরের গল্পের মত আমি আপনাকে এমন একটি আইডিয়া দিতে পারি যার মাধ্যমে এককালীন মাত্র–

· => ৭৫,০০০ টাকা বিনিয়োগ করে ২৫ বছরে ন্যূনতম ১ কোটি টাকার মালিক হতে পারেন

· => ১৫০,০০০ টাকা বিনিয়োগ করে ২০ বছরে ন্যূনতম ১ কোটি টাকার মালিক হতে পারেন

· => ৪০০,০০০ টাকা বিনিয়োগ করে ১৫ বছরে ন্যূনতম ১ কোটি টাকার মালিক হতে পারেন

আমি আপনাকে কোন এমএলএম কোম্পানিতে কিংবা জমিতে বিনিয়োগ করতে কিংবা আমাকে টাকা দিতে বলব না কিংবা আপনার টাকা নিয়ে কেউ উধাও হয়ে যাবে এমন কোথাও বিনিয়োগ করতে বলব না। আমি শুধু আপনাকে পথ দেখিয়ে দিব যে কোথায় আপনাকে বিনিয়োগ করতে হবে? কিভাবে বিনিয়োগ করতে হবে? শুধু বিনিয়োগের আইডিয়াটা আপনাকে দিব। বাদবাকি কাজ আপনিই করতে পারবেন। আইডিয়াটা জানার পর আপনি নিজেই বলবেন যে, “হ্যাঁ এটা আসলেই সম্ভব!” আমার আইডিয়া ব্যবহার করতে আপনাকে দিনে ১ মিনিটও সময় দিতে হবে না।

আপনি যদি কোটি টাকার মালিক হতে চান তাহলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

আমার আইডিয়া ব্যবহার করে আপনি যে নির্ধারিত বছরে ন্যূনতম ১ কোটি টাকার মালিক ইনশাল্লাহ হবেন সে সম্পর্কে সাহস নিয়ে আমি বলছি, আমি ১০০ টাকার ননজুডিসারি স্ট্যাম্পে লিখিত দিব, আমি এতটাই নিশ্চিত!

আপনি ঠকবেন না।

আপনার যে যোগ্যতা থাকতে হবেঃ ধৈর্য, ব্যাংক ইন্টারেস্ট সম্পর্কে সাধারন জ্ঞান, বয়স ন্যূনতম ২০ বছর, শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম ডিগ্রী স্টুডেন্ট আর সাহস করে কিছু করে ফেলার মানসিকতা যদি আপনার থেকে থাকে তাহলে এই আইডিয়া আপনার জন্য। কি সাহস আছে?

যোগাযোগঃ

Muhmmad Anwarul Hoque Khan

Email: mahkbd@gmail.com

Linkedin: http://bd.linkedin.com/pub/muhammad-anwarul-hoq-khan/33/503/657


আমি আমার পুরো প্রোফাইল আপনাদের দিয়ে দিলাম। মনে রাখবেন, সৎ ভাবে দ্রুত বড়লোক হবার কোন পথ নাই। আমার আইডিয়া অনুযায়ী আপনার দরকার হবে শুধু ধৈর্য আর কিছুই না।