Saturday, December 22, 2012

জন্মদিনের শ্রদ্ধাঞ্জলি: মুহম্মদ জাফর ইকবাল



বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবালএই জনপ্রিয়তা শুধু ছোটদের কাছে নয়, বড়দের কাছেওবৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী তিনি পেঁৗছে দিয়েছেন বাংলাদেশের আনাচে-কানাচেবিজ্ঞান ও গণিতের মতো বিষয়কে অত্যন্ত সহজ ও বুদ্ধিদীপ্তভাবে তিনি তুলে ধরেন তাঁর লেখায়কলামিস্ট হিসেবে তাঁর জনপ্রিয়তাও কোনো অংশে কম নয়তিনি অধ্যাপনা করছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগেসাহসী এবং নিরাসক্ত শিক্ষক হিসেবে তাঁর অন্য রকম গ্রহণযোগ্যতা আছেঠিক যে মুহূর্তে দেশের সামনে নেতৃত্ব সংকট, জাতির সামনে আদর্শ সংকট আর ব্যক্তির সামনে অস্তিত্ব সংকট চলছে, তখন তিনি ছাত্র ও শিক্ষকদের কাছে হয়ে ওঠেন অন্যতম আদর্শ 


প্রগতিশীল এই লেখকের মুক্তিযুদ্ধকে ঘিরে দায়িত্বশীল কর্মকাণ্ড, বিভিন্ন সংকটে জাতির গঠনমূলক আলোচনা-সমালোচনা, বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে দায়িত্বপূর্ণ অংশগ্রহণ ইত্যাদি দেশবাসীর কাছে তাঁকে করে তুলেছে অন্যতম গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্বতাঁর বাবা ফয়জুর রহমান আহমেদ ছিলেন পুলিশ অফিসারলেখালেখির চর্চা তাঁর ছিলছিল সাহিত্যের প্রতি গভীর অনুরাগতরুণদের লেখালেখির ব্যাপারেও তিনি খোঁজখবর রাখতেনমুহম্মদ জাফর ইকবালের লেখক হওয়ার পেছনে তাঁর বাবার উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা ছিল প্রবলএকই রকম অনুপ্রেরণা ছিল পরিবারের অন্যদের প্রতিওবাবার পুলিশের চাকরির সুবাদে পরিবারের সঙ্গে তাঁকে ঘুরে বেড়াতে হয়েছে সারা দেশ১৯৭১ সালে তাঁর বাবা শহীদ হনবাবার মৃত্যুর স্মৃতি কষ্ট দিলেও একজন শহীদের সন্তান হিসেবে গর্ব বোধ করেন তিনি


জাফর ইকবাল লেখা শুরু করেন মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সময়েদুঃখ-আনন্দ মেশানো, স্বপ্ন অধ্যুষিত অথচ বিপর্যস্ত এক প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়েকেননা, সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ তখন লড়ছে ক্ষুধা, দারিদ্র্য আর অর্থনৈতিক মুক্তির জন্যতাঁর লেখা প্রথম প্রকাশিত হয় 'বিচিত্রা'য়সেটি ছিল একটি ছোটগল্প_'কপোট্রনিক ভালোবাসা' নামেতাঁর লেখা পড়ে মুগ্ধ হন শহীদ জননী জাহানারা ইমাম ও কবি-কথাসাহিত্যিক আহমদ ছফার মতো ব্যক্তিত্ব


মুহম্মদ জাফর ইকবালের 'ছেলেমানুষি' বা 'একজন দুর্বল মানুষ'-এর মতো ছোটগল্প ও 'দীপু নাম্বার টু', 'আমার বন্ধু রাশেদ-এর মতো মর্মস্পর্শী কিশোর উপন্যাস বাংলা সাহিত্যে খুব কমই আছেএ দেশের পাঠকের মনন গড়তে তাঁর ভূমিকা অকল্পনীয়বাংলাদেশে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীকে পূর্ণতা দিয়েছেন তিনিতাঁর গল্পের ভাষা, বর্ণনা বা উপস্থাপনা কৌশলই শুধু নয়, বিষয়ের আরো গভীরে, মানবিক বোধসম্পন্ন ফিকশন লেখার মাধ্যমে পাঠকদের তিনি উপলব্ধি করতে শিখিয়েছেন জন্মভূমি ও বিশ্বমানবতার প্রতি মানুষের ভালোবাসা, মায়া-মমতার কথাতাঁর প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে_আকাশ বাড়িয়ে দাও, দুঃস্বপ্নের দ্বিতীয় প্রহর, সবুজ ভেলভেট, ক্যাম্প; বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী ও কিশোরদের জন্য লেখা_কপোট্রনিক সুখ দুঃখ, ট্রাইটেন একটি গ্রহের নাম, টুকুনজিল, ক্রুগো, ফিনিঙ্, অবনীল, হাতকাটা রবিন, দীপু নাম্বার টু, আমার বন্ধু রাশেদ প্রভৃতিটেলিভিশনের জন্যও তিনি লিখেছেন অসাধারণ কিছু নাটকতাঁর উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে বেশ কিছু চলচ্চিত্রসাহিত্যে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০০৪ সালে তিনি বাংলা একাডেমী পুরস্কার পানতাঁর বড় ভাই হুমায়ূন আহমেদ জনপ্রিয়তায় বাংলা ভাষার লেখকদের মধ্যে অদ্বিতীয়বাংলাদেশের অন্যতম পাঠকপ্রিয় লেখক ও শিক্ষাবিদ মুহম্মদ জাফর ইকবালের জন্মদিন আজ ২৩ ডিসেম্বর১৯৫২ সালের এই দিনে তিনি সিলেটে জন্মগ্রহণ করেনজন্মদিনে তাঁর প্রতি রইল আমাদের গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি

তাঁর উল্লেখযোগ্য বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী:


কপোট্রনিক সুখ দুঃখ
ট্রাইটন একটি গ্রহের নাম
যারা বায়োবট
টুকুনজিল
বিজ্ঞানী সফদর আলীর মহা মহা আবিস্কার
নি:সঙ্গ গ্রহচারী
মহাকাশে মহাত্রাস
ওমিক্রমিক রূপান্তর
ফোবিয়ানের যাত্রী
বিজ্ঞানী অনিক লুম্বা
বেজি
নয় নয় শূন্য তিন
পৃ
অবনীল
ক্রোমিয়াম অরণ্য
ক্রুগো
সিস্টেম এডিফাস
একজন অতিমানবী
ইরন
ফিনিক্স
অবনীল
ত্রাতুলের জগৎ
মেতসিস
ত্রিনিত্রি রাশিমালা
রুহান রুহান
জলমানব
অন্ধকারের গ্রহ
প্রডিজি
কেপলার টুটুবি 

6 comments:

  1. অভিনন্দন মুহম্মদ জাফর ইকবালকে, এবং শুভেচ্ছা আপনাকে।

    ReplyDelete
  2. পদ্ম পাতার শুভেচ্ছা

    ReplyDelete
  3. শ্রদ্ধেয় স্যারের জন্মদিনে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। স্যারের দীর্ঘায়ূ কামনা করছি। তিনি বেঁচে থাকুন অনেক অনেক বছর আর আলোকিত করে রাখুক আমাদেরকে।

    আপনাকে ধন্যবাদ দিনটিকে মনে করিয়ে দেবার জন্য।

    ReplyDelete
  4. এই নষ্ট ব্যক্তিত্বের যুগে; উইকিলিকসের যুগে; যখন আর মানুষগুলোর শ্রেষ্ঠত্ব টিকে থাকে না; তখনও আমাদের সামনে একজন জাফর ইকবাল।
    শুভেচ্ছা, শুভেচ্ছা, শুভেচ্ছা।
    সঙ্গে শ্রদ্ধা ও ধন্যবাদ।

    ReplyDelete
  5. বাংলাদেশের অন্যতম পাঠকপ্রিয় লেখক ও শিক্ষাবিদ মুহম্মদ জাফর ইকবালের জন্মদিন আজ ২৩ ডিসেম্বর। ১৯৫২ সালের এই দিনে তিনি সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন। জন্মদিনে তাঁর প্রতি রইল আমাদের গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।

    ReplyDelete

Followers

ছোট্ট একটি আইডিয়া আপনাকে কোটিপতি করে দিতে পারে !!!

এক লোক লেটেস্ট মডেলের একটা গাড়ি চালিয়ে দুর্গম এক এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল। হঠাত তার গাড়ি নষ্ট হয়ে গেল। সে খুব চেষ্টা করল কিন্তু গাড়ি ঠিক করতে পারল না। ঠিক তখন কাছাকাছি একটা গ্যারেজ তার নজরে পড়ল। সেখানে খুব সাদামাটা এক মেকানিক পাওয়া গেল। গাড়িওয়ালা তাকে জিজ্ঞেস করলেন, “তুমি কি আমার গাড়িটা ঠিক করতে পারবে?” মেকানিক গাড়ির ইঞ্জিন কভার তুলে বলল, “পাড়ব।” তারপর মেকানিক তার হাতুড়ি দিয়ে একটা স্ক্রুর উপর গুনে গুনে ৬টা বাড়ি মেরে গাড়িওয়ালাকে বলল, “দেখেন, ঠিক হয়েছে কিনা?” গাড়িওয়ালা অবিশ্বাসের চোখে মেকানিকের দিকে তাকাল। তারপর স্টার্ট দিয়ে দেখল, গাড়ি ঠিক হয়ে গেছে।

গাড়িওয়ালার চোখে – মুখে বিস্ময়! বললেন, “মজুরী কত?”

মেকানিক বলল, “১০০ ডলার।”

“৬টা বাড়ির জন্য ১০০ ডলার! এটা তো ১ ডলারের বেশি হবার কথা না। তোমার মাথা ঠিক আছে?”

“হ্যাঁ স্যার, ৬টা বাড়ির জন্য ১ ডলারের বেশি হবার কথা না। বাকি ৯৯ ডলার হল কোন জায়গাতে বাড়ি মারলে আপনার গাড়ি স্টার্ট নিবে সেটা বুজতে পারার জন্য, জানার জন্য।”

ঠিক উপরের গল্পের মত আমি আপনাকে এমন একটি আইডিয়া দিতে পারি যার মাধ্যমে এককালীন মাত্র–

· => ৭৫,০০০ টাকা বিনিয়োগ করে ২৫ বছরে ন্যূনতম ১ কোটি টাকার মালিক হতে পারেন

· => ১৫০,০০০ টাকা বিনিয়োগ করে ২০ বছরে ন্যূনতম ১ কোটি টাকার মালিক হতে পারেন

· => ৪০০,০০০ টাকা বিনিয়োগ করে ১৫ বছরে ন্যূনতম ১ কোটি টাকার মালিক হতে পারেন

আমি আপনাকে কোন এমএলএম কোম্পানিতে কিংবা জমিতে বিনিয়োগ করতে কিংবা আমাকে টাকা দিতে বলব না কিংবা আপনার টাকা নিয়ে কেউ উধাও হয়ে যাবে এমন কোথাও বিনিয়োগ করতে বলব না। আমি শুধু আপনাকে পথ দেখিয়ে দিব যে কোথায় আপনাকে বিনিয়োগ করতে হবে? কিভাবে বিনিয়োগ করতে হবে? শুধু বিনিয়োগের আইডিয়াটা আপনাকে দিব। বাদবাকি কাজ আপনিই করতে পারবেন। আইডিয়াটা জানার পর আপনি নিজেই বলবেন যে, “হ্যাঁ এটা আসলেই সম্ভব!” আমার আইডিয়া ব্যবহার করতে আপনাকে দিনে ১ মিনিটও সময় দিতে হবে না।

আপনি যদি কোটি টাকার মালিক হতে চান তাহলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

আমার আইডিয়া ব্যবহার করে আপনি যে নির্ধারিত বছরে ন্যূনতম ১ কোটি টাকার মালিক ইনশাল্লাহ হবেন সে সম্পর্কে সাহস নিয়ে আমি বলছি, আমি ১০০ টাকার ননজুডিসারি স্ট্যাম্পে লিখিত দিব, আমি এতটাই নিশ্চিত!

আপনি ঠকবেন না।

আপনার যে যোগ্যতা থাকতে হবেঃ ধৈর্য, ব্যাংক ইন্টারেস্ট সম্পর্কে সাধারন জ্ঞান, বয়স ন্যূনতম ২০ বছর, শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম ডিগ্রী স্টুডেন্ট আর সাহস করে কিছু করে ফেলার মানসিকতা যদি আপনার থেকে থাকে তাহলে এই আইডিয়া আপনার জন্য। কি সাহস আছে?

যোগাযোগঃ

Muhmmad Anwarul Hoque Khan

Email: mahkbd@gmail.com

Linkedin: http://bd.linkedin.com/pub/muhammad-anwarul-hoq-khan/33/503/657


আমি আমার পুরো প্রোফাইল আপনাদের দিয়ে দিলাম। মনে রাখবেন, সৎ ভাবে দ্রুত বড়লোক হবার কোন পথ নাই। আমার আইডিয়া অনুযায়ী আপনার দরকার হবে শুধু ধৈর্য আর কিছুই না।