Monday, December 24, 2012

নক্ষত্রের রাত ও আমার বোন


অনেকদিন পর যেন আমি আবার আমার শৈশবে ফিরে এলাম। হঠাৎ করেই এস.এস.সির সার্টিফিকেট প্রয়োজন হয়ে পড়লে, আমি তা স্কুল থেকে তুলতে আসি।


ইস! কী মজার স্কুল।


সার্টিফিকেট তুলতে এসে দেখি আমার মনের নিংড়ানো সেই সুন্দর স্কুলটি আর নেই। একসময় সেখানে ছিল লম্বা টিনের ঘর, অ্যাসেম্বিলিতে দাঁড়িয়ে সবাই একসঙ্গে গাইতাম, "আমার সোনার বাংলা ...." আজ সেখানে বিশাল তিনতলা বিল্ডিং। স্কুলের এরিয়াও অনেক বেড়েছে। সার্টিফিকেট তুলতে এসে দেখি, আমার সময়ের সেই স্যার-আপারা কেউ নেই। আছে শুধু এক বুড়ো দপ্তরি। তারও চোখ ঝাপসা হয়ে গেছে। কাজ শেষ করে যখন বেরিয়ে আসছি, তখন কেউ একজন ডেকে উঠল, "রবিন......" গলার স্বরটা মনে হলো বহুদিনের পরিচিত। আমি থমকে দাঁড়ালাম। দেখি অনেক ছেলে-মেয়ে। এদের মধ্যেই হয়তো কেউ কাউকে ডেকেছে। কিন্তু হুবহু সেই একই কন্ঠ। আমি ফিরে গেলাম আজ থেকে বিশ বছর পূর্বে।




তখন আমি ক্লাস এইটে পড়ি। আমাদের কোয়ার্টারে নতুন এক ফ্যামিলি এসেছে। তাদের সাথে থাকে অপূর্ব এক মেয়ে। প্রথম প্রথম তাকে শুধু আমি দূর থেকেই দেখতাম। একদিন বিকেলে সে এবং তার মা আমাদের বাসায় বেড়াতে আসে। তখন জানতে পারি বাবার বদলির কারনে মেয়ে ট্রান্সফার হয়ে আমাদের স্কুলে চলে এসেছে। সামনের জানুয়ারীতেই সে স্কুলে যাবে।
মেয়েটি আমাকে বলল, তোমার নাম কি?
রবিন, তোমার?
মৌমিতা। কোন ক্লাসে পড়?
এইটে (জানুয়ারীতে আমি এইটে উঠব তাই অগ্রীম বলেছিলাম),
তুমি? টেনে।
তাহলে তো তুমি আমার চেয়ে বড়।
হু, অসুবিধা নেই। আমাকে তুমি করেই বলবে। আমি তোমার বন্ধু।

এরপর থেকে আমরা একসঙ্গে স্কুলে যেতাম। ফিরতামও একই সঙ্গে। তখন আমাদের কোর্য়াটার আর স্কুলে প্রচুর গাঁদা ফুল গাছ লাগানো হতো। চারিদিকে শুধু হলুদ ফুল ফুটত। জানুয়ারি মাস। তাই পড়াশুনার চাপও অনেক কম। একদিন আমরা স্কুল ফাঁকি দিয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে অনেক দূরে বিলে শীতের পাখি দেখতে গিয়েছিলাম। মৌমি বলত, জানিস এই পাখি গুলো শীতের দেশ থেকে আসে। আমি বলতাম, যাহ! এখানেইতো কত শীত। আমি কিছুতেই বিশ্বাস করতাম না। মৌমি বিলের মাঝে ঢিল মারত। তাতে কিছু পাখি উড়ে দূরে চলে যেত। বলত, প্রতিটি মানুষের ভিতরে একটি পাখি লুকিয়ে থাকে। সে উড়ে যেতে চায়। ভাবে কোথাও আমার হারিয়ে যেতে নেই মানা।

একবার অনেক রাত পর্যন্ত ব্যাডমিন্টন খেলেছিলাম। মৌমির সঙ্গে আমি কখনই পারতাম না। কর্কের বাজিতে খেলা হতো। আমি প্রতিবার কর্ক খুইয়ে ফেলতাম। একদিন খেলা শেষ করে ওকে যখন কর্ক দিলাম তখন বলেছিলো, তুই আমার ভাই হবি। তাহলে সব কর্ক তোকে আমি দিয়ে দেব। বলেই কেঁদেছিলো। পরে জেনেছিলাম, মৌমির বড় ভাইকে সন্ত্রাসীরা মেরে ফেলেছিলো। ওর বাবা মেয়ের জন্য ভয়ে এলাকা ছেড়ে চলে আসেন। একবার কেরাম খেলা নিয়ে ওর সঙ্গে প্রচন্ড ঝগড়া বাঁধে। আমি রাগে বলেছিলাম, আমি তোর ভাই না, তুইও আর আমার বোন না। আমি কখনই ওর সঙ্গে তুই তোকারি করতাম না। রাগ হয়েছিলো বলে করেছিলাম।

মৌমি খুব ভালো ছাত্রী ছিল। বোর্ডে মেয়েদের মধ্যে তৃতীয় হলে ওর বাসায় অনেক মানুষের ভীড় হয়েছিলো। আমার পরিষ্কার খেয়াল আছে, রেজাল্টের দিন রেজাল্ট আনতে আমরা দুজন সকাল থেকে স্কুলের চত্ত্বরে বসেছিলাম। দুটার দিকে হেডস্যার বারান্দায় এসে মৌমিকে ডাক দিলেন। জানলাম মৌমির অসাধারণ রেজাল্টের কথা। আমি খুশীতে চিৎকার করে উঠলাম। তারপর দুজন দৌড়ে গেটের কাছে যাই। সেখানে একটি বট গাছের নীচে একলোক বাক্স করে আইসক্রিম বিক্রি করছিল। আমার কাছে কোন টাকা ছিলনা। মৌমির কাছে শুধুমাত্র আটআনা ছিল। সেটা দিয়েই একটি আইসক্রিম কিনে দুইজন ভাগ করে খাই। মৌমি দুই কামড় দিয়ে আমাকে দেয়। আমি কয়েক কামড় দিয়ে লাল আইসক্রিমটা ওর দিকে ছুঁড়ে দেই। তখন বটগাছের ঝুলে পড়া ডাল ভেঙ্গে আমার দিকে তেড়ে এল। এই বট গাছটা এখনও আছে। বাসায় এসে দেখি অনেক মানুষ। পত্রিকা থেকেও লোক এসেছে।

ওদের বাসায় এর পরেও অনেক মানুষ এসেছিল, যখন মৌমি চোখ বন্ধ করে অন্যজগতে চলে গিয়েছিলো। এইচ.এস.সি পড়ার সময় ওর ব্রেন টিউমার ধরা পড়ে। ওর বাবার অত সামর্থ্য ছিল না যে তাকে দেশের বাইরে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করাবে। মৌমি খুব শক্ত মেয়ে ছিল। মাথা ব্যাথা নিয়েও সে অনেক রাত পর্যন্ত ব্যাডমিন্টন খেলতে পারত। একবার খেলতে খেলতে সে ঘাসের উপর শুয়ে পড়েছিলো। আমি ভাবলাম হয়তো অজ্ঞান হয়ে গেছে। কাছে গেলে বলে উঠল, তুই আমার পাশে শুয়ে আকাশের দিকে তাকা তখন আকাশে শীতের হালকা কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। তার মাঝেও অনেক তারা ঝলমল করত। মৌমি বলত, রাতে যখন নক্ষত্রের নীল আলো পৃথিবীতে নেমে আসে তখন রাতজাগা পাখি কর্কশ করে ডেকে দূর আকাশে মিলিয়ে যাবে।হয়তো কোন একদিন আমিই হব সেই তারা। আমি কেঁদে ফেলেছিলাম। মৌমি ধমক দিয়ে বলত, এই কাঁদবি না। তারপর আমার চোখ মুছিয়ে দিয়ে বলেছিলো, অনেক রাতে যদি কখনও ঘুম ভেঙ্গে যায়, তখন জানালার ধারে দাঁড়িয়ে রূপালী চাঁদ দেখবি। ভাববি অন্য পৃথিবী থেকে আমিও সময় চাঁদ দেখছি। আমরা দুজন একসঙ্গে চাঁদ দেখব। আর যদি তোর জানালা দিয়ে চাঁদ না দেখা যায় তাহলে আকাশে নিশ্চয়ই অনেক তারা দেখতে পাবি। মনে করবি অনেক তারার ভীড়ে আমিও এক তারা হয়ে দূর আকাশে মিশে আছি। আর তোকে দেখছি। দেখবি তোর মন ভালো হয়ে যাবে। তখন হঠাৎ করেই হু হু করে শীতের ঠান্ডা বাতাস বয়ে গিয়েছিল।

আজও আমি শীতের রাতে ঘুম ভেঙ্গে গেলে জানালার পাশে এসে দাঁড়াই। আকাশে অনেক তারা ঝিলমিল করে। জানি মানুষ মরে কখনও তারা হয় না। তবুও আমার ভাবতে ইচ্ছে করে অনেক তারার ভীড়ে মৌমিও সেখানে আছে। সে নীল আলো পৃথিবীতে ছড়িয়ে দেয়। সেই মায়াবী আলোতে হঠাৎ হঠাৎ কোন রাত জাগা পাখি ডেকে দূর আকাশে মিলিয়ে যায়। আর আমি আকাশের দিকে তাকিয়ে মৌমিকে দেখি, ঠিক যে রকম করে আমাকে দেখে। মাঝে মাঝে মনে হয় দূর আকাশ থেকে মৌমি ফিসফিস করে বলছে, আমার ভাই হবি, ভাই। নিজের অজান্তেই আমার বুকটা দুমড়ে মুচড়ে ওঠে।

34 comments:

  1. কিছু স্মৃতি থাকে কাতর করেনা, বেদনাহত করে।

    ReplyDelete
  2. এক টানে পড়ে গেলাম। ধন্যবাদ ভাই। শুভেচ্ছা রইল।

    ReplyDelete
  3. খুবি ভালো লেগেছে।

    ReplyDelete
  4. কিছু মানুষ ছেড়ে চলে যায় কিন্তু হারিয়ে যায় না কখনো. রয়ে যায় হৃদয়ের কোন কোণে!

    ReplyDelete
  5. অকালে ঝরে যাওয়া তারাটির জন্য অনেক কষ্ট লাগছে

    ReplyDelete
  6. ছোট বেলার কথা মনে পরে গেল

    ReplyDelete
  7. আশা করি প্রতিদিন আপনাকে পাব এবং আপনার লেখা উপভোগ করব।

    ReplyDelete
  8. আমার খুব ভাল লেগেছে

    ReplyDelete
  9. অনেক ভালো লাগলো

    ReplyDelete
  10. পুরো গল্পটি পড়বো রাতে অথবা অফিসের অবসরে। অল্প একটু পড়ে নস্টালজিয়ায় পেয়ে বসেছিল। এ রকম আমারও একটি স্মৃতি আছে। আপনি কি কখনও মঠবাড়িয়া গিয়েছেন? ওখানে কেএম লতিফ ইন্সটিটিউশন আমার মাধ্যমিক স্কুল। দেখার মতো স্কুল বটে! স্কুলে গিয়ে বের হতে মন চাইছিল না। পরে সেসব বলবো।

    ReplyDelete
  11. অনেক ভালো লাগল গল্পটা পড়ে । অনেক অনেক । শুভেচ্ছা রইল ।

    ReplyDelete
  12. Al-amin tumi eto darun lekho janai silo na………………………….khubbiiiiiiiii valo legese tomar lekha

    ReplyDelete
  13. অনেক ভাল লাগল বুকটা হু হু করে উঠছে

    ReplyDelete
  14. অসম্ভব সুন্দর একটা লেখা।

    ReplyDelete
  15. কিছু কিছু ঘটনা ইচ্ছে করলেও ভুলা যায় না।
    কি একযাদু টান অনুভব করলাম আপনার লেখায়।
    নিজেকেও সেই কতশত স্মৃতির মাঝে নিয়ে গেলাম আপনার স্মৃতিচারন পড়ে। সত্যিই অসাধারণ

    ReplyDelete
  16. হৃদয় নাড়া দেয়া গল্প
    শুভ কামনা আপনার জন্য
    ভালো থাকুন

    ReplyDelete
  17. আসাধারন লেখা ভাইয়া । খুব ভালো লাগল

    ReplyDelete
  18. ভাল লাগার গভিরে …….

    ReplyDelete
  19. দারুন পোস্ট। চালিয়ে যান।

    ReplyDelete
  20. অসাধারণ লেগেছে ভ্রাতা। লেখালেখিটা চালিয়ে যান, আপনাকে দিয়ে হবে।

    ReplyDelete
  21. বেশ ভাল লাগলো ।

    ReplyDelete
  22. ভাই আনোয়ার, আপনি এত কম লেখেন কেন?
    আপনার লেখার হাত তো দেখি চমৎকার! ছোট্ট এই কাহিনী বলে দিলেন তো চোখ ঝাপসা করে?
    অনেক শুভ কামনা।

    ReplyDelete
  23. বেশ নিখুঁত লেখা। শুভকামনা।

    ReplyDelete
  24. সত্যি ঘটনা? খুব সুন্দর লেখা, শুভ কামনা।

    ReplyDelete
  25. চমৎকৃত করে দিলেন। গল্প কী জীবন থেকে নেয়া?

    ReplyDelete
  26. মৌমি আর রবিনকে চোখের সামনে এনে দিলেন একেবারে!
    খুব খু-উ-ব ভালো লেগেছে গল্প/জীবনের গল্প।
    শুভকামনা আপনার জন্য, মৌমির জন্য।

    ReplyDelete
  27. অনেক পরিচ্ছন্ন একটি লিখা । মন ছুঁয়ে যাওয়া লিখা । অনেক, অনেক সুন্দর একটি গল্প ।

    ReplyDelete

Followers

ছোট্ট একটি আইডিয়া আপনাকে কোটিপতি করে দিতে পারে !!!

এক লোক লেটেস্ট মডেলের একটা গাড়ি চালিয়ে দুর্গম এক এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল। হঠাত তার গাড়ি নষ্ট হয়ে গেল। সে খুব চেষ্টা করল কিন্তু গাড়ি ঠিক করতে পারল না। ঠিক তখন কাছাকাছি একটা গ্যারেজ তার নজরে পড়ল। সেখানে খুব সাদামাটা এক মেকানিক পাওয়া গেল। গাড়িওয়ালা তাকে জিজ্ঞেস করলেন, “তুমি কি আমার গাড়িটা ঠিক করতে পারবে?” মেকানিক গাড়ির ইঞ্জিন কভার তুলে বলল, “পাড়ব।” তারপর মেকানিক তার হাতুড়ি দিয়ে একটা স্ক্রুর উপর গুনে গুনে ৬টা বাড়ি মেরে গাড়িওয়ালাকে বলল, “দেখেন, ঠিক হয়েছে কিনা?” গাড়িওয়ালা অবিশ্বাসের চোখে মেকানিকের দিকে তাকাল। তারপর স্টার্ট দিয়ে দেখল, গাড়ি ঠিক হয়ে গেছে।

গাড়িওয়ালার চোখে – মুখে বিস্ময়! বললেন, “মজুরী কত?”

মেকানিক বলল, “১০০ ডলার।”

“৬টা বাড়ির জন্য ১০০ ডলার! এটা তো ১ ডলারের বেশি হবার কথা না। তোমার মাথা ঠিক আছে?”

“হ্যাঁ স্যার, ৬টা বাড়ির জন্য ১ ডলারের বেশি হবার কথা না। বাকি ৯৯ ডলার হল কোন জায়গাতে বাড়ি মারলে আপনার গাড়ি স্টার্ট নিবে সেটা বুজতে পারার জন্য, জানার জন্য।”

ঠিক উপরের গল্পের মত আমি আপনাকে এমন একটি আইডিয়া দিতে পারি যার মাধ্যমে এককালীন মাত্র–

· => ৭৫,০০০ টাকা বিনিয়োগ করে ২৫ বছরে ন্যূনতম ১ কোটি টাকার মালিক হতে পারেন

· => ১৫০,০০০ টাকা বিনিয়োগ করে ২০ বছরে ন্যূনতম ১ কোটি টাকার মালিক হতে পারেন

· => ৪০০,০০০ টাকা বিনিয়োগ করে ১৫ বছরে ন্যূনতম ১ কোটি টাকার মালিক হতে পারেন

আমি আপনাকে কোন এমএলএম কোম্পানিতে কিংবা জমিতে বিনিয়োগ করতে কিংবা আমাকে টাকা দিতে বলব না কিংবা আপনার টাকা নিয়ে কেউ উধাও হয়ে যাবে এমন কোথাও বিনিয়োগ করতে বলব না। আমি শুধু আপনাকে পথ দেখিয়ে দিব যে কোথায় আপনাকে বিনিয়োগ করতে হবে? কিভাবে বিনিয়োগ করতে হবে? শুধু বিনিয়োগের আইডিয়াটা আপনাকে দিব। বাদবাকি কাজ আপনিই করতে পারবেন। আইডিয়াটা জানার পর আপনি নিজেই বলবেন যে, “হ্যাঁ এটা আসলেই সম্ভব!” আমার আইডিয়া ব্যবহার করতে আপনাকে দিনে ১ মিনিটও সময় দিতে হবে না।

আপনি যদি কোটি টাকার মালিক হতে চান তাহলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

আমার আইডিয়া ব্যবহার করে আপনি যে নির্ধারিত বছরে ন্যূনতম ১ কোটি টাকার মালিক ইনশাল্লাহ হবেন সে সম্পর্কে সাহস নিয়ে আমি বলছি, আমি ১০০ টাকার ননজুডিসারি স্ট্যাম্পে লিখিত দিব, আমি এতটাই নিশ্চিত!

আপনি ঠকবেন না।

আপনার যে যোগ্যতা থাকতে হবেঃ ধৈর্য, ব্যাংক ইন্টারেস্ট সম্পর্কে সাধারন জ্ঞান, বয়স ন্যূনতম ২০ বছর, শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম ডিগ্রী স্টুডেন্ট আর সাহস করে কিছু করে ফেলার মানসিকতা যদি আপনার থেকে থাকে তাহলে এই আইডিয়া আপনার জন্য। কি সাহস আছে?

যোগাযোগঃ

Muhmmad Anwarul Hoque Khan

Email: mahkbd@gmail.com

Linkedin: http://bd.linkedin.com/pub/muhammad-anwarul-hoq-khan/33/503/657


আমি আমার পুরো প্রোফাইল আপনাদের দিয়ে দিলাম। মনে রাখবেন, সৎ ভাবে দ্রুত বড়লোক হবার কোন পথ নাই। আমার আইডিয়া অনুযায়ী আপনার দরকার হবে শুধু ধৈর্য আর কিছুই না।